কেশবপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৭ ডিসেম্বর।
কেশবপুরে এক ঘের মালিককে হয়রানি করতে আর এক ঘের মালিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ঘের মালিক কেরামত আলী গাজী সোমবার কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অপর ঘের মালিক কামরুজ্জামানে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কেরামত আলী গাজী বলেন, ৪ বছর আগে পৌর এলাকার আলতাপোল গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বিশ্বাস পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের ৩শ’২৫ বিঘা জমি কৃষকদের কাছ থেকে হারি হিসেবে নিয়ে একটি মাছের ঘের করেন। গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে কে বা কারা তার মাছের ঘেরটি দখল করতে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি জানতে পারেন দখলকারিরা ঘেরটির দখলে নিতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে ঘের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বিশ্বাস থানায় আমাকে ও আমার ছেলে ইয়াছিন গাজীসহ ১৬/১৭ জনের নামে মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী করেছে। যা ৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, কামরুজ্জামান বিশ্বাস ঘের করার সময় খাল-বেঁড়ি ৪২ হাজার টাকা ও ডাঙ্গা ২১ হাজার টাকা দিবে বলে কৃষকদের সাথে চুক্তি করে নেয়। কিন্তু এ শর্ত সে ভঙ্গ করে খাল-বেঁড়ি ২৮ হাজার টাকা, ডাঙ্গা ১৪ হাজার টাকা করে হারি দেয়। এরপরও সে ঠিকমত কৃষকদের হারির টাকা পরিশোধ করে না। এমনকি ঘেরের পানি সময়মত নিষ্কাশন না করায় কৃষকরা বোরো ধান আবাদ করতে ব্যর্থ হয়। সে এতদিন ঘের কমিটির প্রভাবশালী সদস্যদের ম্যানেজ করেই ঘেরটি চালিয়ে আসছে। যে কারণে ওই ঘের সংলগ্ন এলাকার কৃষকরা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। বর্তমান ঘেরের দখল নিয়ে জনগণ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তার ঘেরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হলেই কৃষকরা ঘেরটি আমাকে দিয়ে দেবে। যা নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর বিকেলে এলাকার কৃষকরা ঘের কমিটির সভাপতির অনুপস্থিতিতে একটি জরুরী সভাও করে। এ সভাকে বানচাল করতেই ঘের দখলের নাটক করা হয়েছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন।
ঘের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান ওই ঘটনায় ঈর্ষাম্বিত হয়ে আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে আমিসহ আমার পরিবারকে জড়িয়ে হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা ডায়েরী করেছে। এমতাবস্থায় তিনি হয়রানি হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ সময় তার ছেলে ইয়াছিন আলী গাজী উপস্থিত ছিলেন।
কবির হোসেন
কেশবপুর
০১৭১১-২৫০৩৫৬।